মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজধানীর মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং মার্কেট ও দোকান বন্ধের পর ওই বর্জ্য সিটি করপোরেশনকে অপসারণ করাসহ ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বায়ু দূষণ রোধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ব্যখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধ সংক্রান্ত মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে গতকাল রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন সাইদ আহমেদ রাজা।

 

বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা হচ্ছে- ১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করা। ২. যেসব জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে সেসব জায়গার নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা। ৩. ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনও পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা  নেওয়া। ৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করা। ৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করা। ৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। ৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা। ৮. পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধ। ৯. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করা।  

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ